প্রিন্ট এর তারিখঃ Nov 17, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Nov 5, 2025 ইং
এলএসটিডি প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার পাইকরাজ প্রযুক্তি গ্রামে বীজ সংরক্ষণ পাত্র বিতরণ

কৃষকদের মাঝে মানসম্মত ধানের বীজ সংরক্ষণের সচেতনতা বৃদ্ধি ও টেকসই কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) স্যাটেলাইট স্টেশন, সিলেট—এর তত্ত্বাবধানে এবং এলএসটিডি প্রকল্পের অর্থায়নে সিলেট সদর উপজেলার হাটখোলা ইউনিয়নের পাইকরাজ প্রযুক্তি গ্রামে বীজ সংরক্ষণ পাত্র বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এলএসটিডি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সুদূরদর্শী পরামর্শ ও উদ্যোগে কৃষক পর্যায়ে উন্নত মানের বীজ সংরক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি ও গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে এ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কৃষকরা আধুনিক ও কার্যকর পদ্ধতিতে বীজ সংরক্ষণে সক্ষম হবে, যা পরবর্তী মৌসুমে উচ্চ অঙ্কুরোদগম হার, রোগমুক্ত চারা উৎপাদন এবং সামগ্রিক ফলন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে ১০০ কেজি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন উন্নতমানের বীজ সংরক্ষণ পাত্র বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রি স্যাটেলাইট স্টেশন, সিলেট—এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (এলএসটিডি প্রকল্প) মোসা: আবিদা সুলতানা এবং সদর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ফজলে মঞ্জুর ভূঁইয়া।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোসা: আবিদা সুলতানা কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “উন্নত প্রযুক্তি সরাসরি মাঠ পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন ব্যয় হ্রাস এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধি সম্ভব।”
এছাড়াও তিনি আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, বীজ সংরক্ষণ পদ্ধতি, কীট ও রোগ ব্যবস্থাপনা, এবং টেকসই কৃষি অনুশীলনের বিষয়ে কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান। তাঁর দিকনির্দেশনা কৃষকদের মধ্যে গভীর আগ্রহ সৃষ্টি করে এবং তারা নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে অনুপ্রাণিত হন।
উপকারভোগী কৃষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খিজির আহমদ, সাইদুর রহমান, ফয়েজ আহমদ, আব্দুল জলিল, রোমানা বেগম, দুদু মিয়া, জাবেদ আহমদ, জাফরুল ইসলামসহ আরও অনেকে। কৃষকরা এ ধরনের উদ্যোগকে সময়োপযোগী ও ফলপ্রসূ বলে অভিহিত করেন এবং ব্রি কর্তৃপক্ষের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও সম্প্রসারণের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ ডেইলি সিলেট কন্ঠ